আজকাল প্রায়ই দেখি যে এখানে-সেখানে আমাদের বয়সী বা তার থেকেও কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা আত্মহত্যায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছে, বিশেষত মেয়েরা। যে হারে এর সংখ্যা বাড়ছে তাতে মনে হচ্ছে যে খবরের কাগজে কিংবা খবরের চ্যানেলে এর জন্য আলাদা বিভাগ খুলতে হবে।
যারা আত্মহত্যা করে বা করার ইচ্ছা আছে তাদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন :
মা, বাবা, ভাই, বোন, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এদের থেকে প্রেমিক/প্রেমিকা কি বড় হয়ে গেল?
যারা জন্মের পর থেকে ভালবাসা দিয়ে বড় করলো তাদের কথা কিভাবে সাময়িক প্রেমের মোহে ভুলে যাওয়া যায়?
যারা আত্মহত্যা করে তারা কি কখনো তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে না?
তারা কি কখনো ভাবে না যে নিজের পরিবারের লোকজন কখনো তার ক্ষতি চাইবে না?
আত্মহত্যাই কি সব সমস্যার সমাধান?
আত্মহত্যাই সব সমস্যার সমাধান নয়। ছেলেমেয়েদের উচিৎ তাদের যেকোনো সমস্যা সরসরি তাদের বাবা-মায়ের সাথে শেয়ার করা, আর বাবা-মায়েরও উচিৎ সন্তানের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা। আমার মনে হয় যে ০-১৩/১৪ বছর বয়স পর্যন্ত মা- বাবা যেভাবে সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখে, তার থেকেও ১৫-২৫ বছর পর্যন্ত আরও বেশি খেয়াল রাখা দরকার। আমরা আমাদের নিজেস্ব সংস্কৃতি আর নিজ নিজ ধর্মীও রীতি-নীতি থেকে অনেক দূরে সড়ে যাচ্ছি। আর এই কারনেই আজকাল এই আত্মহত্যা আমাদের দেশে সামাজিক ব্যাধিতে রুপ নিয়েছে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমরা যদি আমাদের সংস্কৃতি আর নিজ নিজ ধর্মীও রীতি-নীতি মেনে চলি তবেই এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।